প্রিয়জন‌দের সঙ্গে ঈ‌দ উদযাপন কর‌তে ঘরমু‌খী মানুষজন‌কে এক‌দি‌কে যেমন যানজ‌টে পড়‌তে হ‌চ্ছে অন্যদি‌কে প‌রিবহন না পে‌য়ে নিম্নআ‌য়ের মানুষজ‌নের খোলা ট্রা‌কে বৃ‌ষ্টি‌তে ভি‌জে ভি‌জে বাড়ি যে‌তে হ‌চ্ছে।

ফ‌লে ছোট ছোট শিশু‌দের নি‌য়ে প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদ কর‌তে যাওয়া মানুষজন‌ চরম ভোগা‌ন্তিতে পড়ছেন। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়‌কের পুং‌লি ও এ‌লেঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই চিত্র দেখা গে‌ছে।

ঢাকা থে‌কে মানুষজন যে যেমন পার‌ছেন বাস বা মালবাহী ট্রাকে প‌রিবার নি‌য়ে বা‌ড়ি ফির‌ছেন। ত‌বে ক‌রোনার ম‌ধ্যে স্বাস্থ্যবি‌ধি মান‌তে দেখা যায়‌নি। ত‌বে বৃ‌ষ্টির প‌রিমাণ বে‌শি হ‌লেই প‌লি‌থিন বা ট্রা‌কের মাআমাল ঢাকার ত্রিপল মাথার ওপর নিয়ে চে‌পে যা‌চ্ছে তারা।

এছাড়া ঢাকার সি‌টি‌তে যেসব প‌রিবহন চলাচল ক‌রে সেগুলোও যাত্রী নি‌য়ে উত্তর ও প‌শ্চিমাঞ্চলসহ বি‌ভিন্ন জায়গায় যা‌চ্ছে। এ‌দি‌কে দুপুর ১২টার পর থে‌কে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা থেকে মহাসড়‌কের হা‌তিয়া পর্যন্ত এবং এ‌লেঙ্গা থেকে তারু‌টিয়া পর্যন্ত তীব্র যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এ‌তে চরম ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছেন যাত্রী ও চালকরা। এ‌দি‌কে সকাল থে‌কেই টাঙ্গাই‌লে কোথাও ভারী বৃ‌ষ্টি কোথাও বা হালকা বৃ‌ষ্টি হ‌চ্ছে।
ঈ‌দে ঘ‌রে ফেরা এসব মানুষ ভোগা‌ন্তির কথা চিন্তা ক‌রেই ছুট‌ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।

খোলা ট্রা‌কের যাত্রীরা জানায়, শত ক‌ষ্টের ম‌ধ্যেও প‌রিবারের সঙ্গে ঈদ কর‌তে পার‌বে, এটাই তৃ‌প্তি। ভোগা‌ন্তি আ‌ছে ত‌বে বাস না পে‌য়ে বিকল্প যানবাহন হি‌সে‌বে খোলা ট্রা‌কে যা‌চ্ছি। বাস পে‌লেও ভাড়া তিনগুণ বে‌শি চাচ্ছে।

অভিজিৎ ঘোষ/এমএসআর