শীতকে উপেক্ষা করে কাজে শ্রমজীবী মানুষ

কুড়িগ্রামে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা। টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে কুড়িগ্রামের শ্রমজীবী, হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) স্থানীয় আবহাওয়া অফিসে তথ্য অনুযায়ী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আকাশে প্রচুর মেঘ থাকার কারণে কুয়াশা অনেক বেশি। আকাশে মেঘ সরে না যাওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমছে না।

সুবল চন্দ্র সরকার, রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

এদিকে, গরম কাপড়ের অভাবে শীতকষ্টে ভুগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে  শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া গ্রামের নামদেল বলেন, খুবই কুয়াশা পড়ছে। মাঠে কাজ করতে পারছি না। মাঠে কাজ না করলে ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। যতই কুয়াশা পরুক না কেন আমার কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো কম্বল আমার কপালে জোটেনি। 

কুয়াশায় বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা

পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার পরিবার। কিন্তু কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি ৫০০। সেগুলোর ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সব সময় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে দোষ দেয়। এতোগুলো মানুষ কম্বল পেয়েছি মাত্র ৫০০। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে প্রচুর মেঘ থাকার কারণে কুয়াশা অনেক বেশি। আকাশের মেঘ সরে না যাওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমছে না।

এসপি