খুলনার পাঁচটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে একজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন সাতক্ষীরার তালার মফিজুর রহমান (৫২) ও গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ার আব্দুল মজিদ (৮০)।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪১ জন, ইয়ালো জোনে ৪৭ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ জন।

খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর বয়রা কলেজ রোডের মো. ফজলুর রহমান (৭৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নগরীর টুটপাড়ার আব্দুস সাত্তার (৭২) নামে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮ জন, তার মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।

সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার গোলাম মোস্তফা (৯০) নামের একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫৮ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৮ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।

গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন বাগেরহাটের ফকিরহাট পাগলা শ্যামনগর এলাকার সোনিয়া (৩৫) ও কচুয়া এলাকার সুকান্ত দাস (৬৫)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।


মোহাম্মদ মিলন/এনএ