৩ বস্তা মরা মুরগি দেখে দোকানদারকে নিয়ে গেলেন মেয়র
ভোলার চরফ্যাশনে এক মুরগি ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ১৬৫ পিস মরা মুরগি উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় চরফ্যাশন বাজার থেকে এসব মুরগি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুরগি ব্যবসায়ী ইয়াছিনকেও আটক করা হয়েছে। তিনি পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরফ্যাশন পৌরসভার মেয়র মো. মোরশেদ ওই দোকানে গেলে ৩ বস্তাভর্তি মরা মুরগি দেখতে পায়। ঘটনাস্থল থেকে মরা মুরগি ও দোকান মালিককে আটক করে তিনি পৌরভবনে নিয়ে আসেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলাম মনিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আটক ইয়াছিন জানান, সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৪শ মুরগি ক্রয় করে চরফ্যাশনে আনেন। মুরগিগুলো গাড়ি থেকে নামানোর পর দেখি কিছু মৃত আর কিছু মুরগি দোকানে মারা গেছে। মরা মুরগি কোনো হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্য ছিলো না বলেও জানান ব্যবসায়ী ইয়াছিন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মাহাবুব কবির জানান, স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের সঙ্গে বের হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরে মাংসের সঙ্গে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।
পরে চরফ্যাশন পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে দোকান মালিক মো. ইয়াছিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্তি দেওয়া হয় এবং মরা মুরগিগুলো পৌরসভার দায়িত্বে মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছে।
এমএএস