রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬৭৮ জনের। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এদিকে গত ২৫ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩০ জন। গতকালের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্তের হার কমেছে।

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের ৭ জন, দিনাজপুরের ৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ জনসহ পঞ্চগড়, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের একজন করে রয়েছেন।

এ সময়ে বিভাগে ২ হাজার ৪৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ১৯৫ জন, দিনাজপুরের ১০৩, পঞ্চগড়ের ৯৪, ঠাকুরগাঁওয়ের ৮৫, কুড়িগ্রামের ৭৭, নীলফামারীর ৭৫, গাইবান্ধার ৬৯ ও লালমনিরহাটের ২০ জন রয়েছেন।

নতুন করে মারা যাওয়া ১৬ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫৪ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৫৯ জন, রংপুরে ১৮০, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬৩, নীলফামারীতে ৬৪, পঞ্চগড়ে ৫২, লালমনিরহাটে ৫১, কুড়িগ্রামে ৪৬ ও গাইবান্ধায় ৩৯ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৯৬ জন।

বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৭৪৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১১ হাজার ৯৮৮ জন, রংপুরে ৮ হাজার ৯৩২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৬২৬, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৪৫৯, নীলফামারীর ৩ হাজার ২২৩, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৭৪, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৯৭ এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৩৪৫ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ