কঠোর বিধিনিষেধে ছাত্রলীগের শুভেচ্ছা নিলেন ইউএনও
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে উপজেলা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়েছেন ইন্দুরকানী উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফুনেচ্ছা খানম।
সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা দেন ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান সগীর।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তার সঙ্গে প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন, তাদের অধিকাংশকেই মাস্ক পর্যন্ত পরতে দেখা যায়নি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুপুরের পর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
ইন্দুরকানীর পাড়েরহাটের বাসিন্দা জাফর ইকবাল জানান, আমরা সাধারণ মানুষ বিধিনিষেধে ঘর থেকে বাজারে গেলেই ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করে। কিন্তু তারা দল বেঁধে মিছিল করে ফুল দিতে গেলে কোনো দোষ হয় না।
বিজ্ঞাপন
পত্তাশী ইউনিয়নের মাওলানা তরিকুল ইসলাম জানান, কঠোর বিধিনিষেধে মানুষের ঘরে থাকার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নেতাদের হাত থেকে সরকারি কর্মকর্তারাও সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে শুভেচ্ছা নেয় তা প্রশাসনের উপরের কর্মকর্তাদের দেখা উচিত।
ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান সগীর জানান, ইন্দুরকানী উপজেলায় নতুন নির্বাহী কর্মকর্তা যোগ দেওয়ায় অন্য সব সংগঠনের মতো তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানানোর সময় তারা মাস্ক খুলে ছবি তুলেছেন। এছাড়া তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেখানে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে ইন্দুরকানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুনেচ্ছা খানম জানান, তাকে কোনো কিছু না জানিয়েই তার কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছিল। এ সময় তাদের প্রথমে সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়। মাস্ক খুলে শুধু ছবিই তোলা হয়েছে এবং পরবর্তীতে বিধিনিষেধ চলাকালে যেন কেউ ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে না আসে সে বিষয়ে সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
মো. আবীর হাসান/এসএসএইচ