এডিস মশার বিস্তার রোধে এবার মসিকের ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’
বিগত বছরগুলোতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেলেও ময়মনসিংহ নগরী ছিল স্থানীয় এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গু থেকে মুক্ত। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) মশক নিধনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করায় এখনো নগরীর কাউকেই পড়তে হয়নি ডেঙ্গুর কবলে।
করোনাকালেও সিটির মশক নিধন কর্মসূচি বেশ জোরেশোরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ বছর জৈবিক উপায়ে মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের প্রচেষ্টাও ছিল বেশ দৃশ্যমান।
বিজ্ঞাপন
মশক নিধনে ইতিমধ্যে ড্রেন, খাল, জলাশয়ে ১০ হাজার ব্যাঙ এবং ৫০ হাজার মশাভুক মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। এবার এডিস মশার বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিবিড় কর্মসূচি বা ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ গ্রহণ করেছে সিটি করপোরেশন।
মসিক সূত্র জানায়, সিটিতে ১৪০টি মশার আবাসস্থলের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানগুলোতে নিয়মিত কর্মসূচির সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’। ২৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওয়ার্ডভিত্তিক এ ক্রাশ প্রোগ্রাম চলবে ১২ দিন ব্যাপী।
বিজ্ঞাপন
সিটি মেয়রের সরাসরি তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগের তৎপরতায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। নির্ধারিত ওয়ার্ডে প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রয়োগ করা হচ্ছে এডাল্টিসাইড।
সূত্রটি আরও জানায়, নির্মাণাধীন ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ময়মনসিংহ মহানগর সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, বিগত সময়েও মশক নিধনসহ নানা সমস্যা নিয়ে সিটি মেয়রকে আমরা সোচ্চার থাকতে দেখেছি। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন এগুলো থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখার জন্য। ডেঙ্গু বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার কারণে নগরীতে এখনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, এডিস মশার বিস্তার রোধ ও মশার অত্যাচার থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা সিটি করপোরেশনের অন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে পূর্বের বছরগুলোর মতো এ বছরও আমরা সচেষ্ট। টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ মোতবেক আমরা মশক নিধনে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করছি।
উবায়দুল হক/এমএসআর