গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৩৩ জন। বিভাগে গত ৩০ দিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯৯ জন ও শনাক্ত হয়েছে ১৮ হাজার ১৯৩ জন।

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের পাঁচজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, দিনাজপুরের দুজন, নীলফামারীর দুজন, পঞ্চগড়ের দুজনসহ কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন।

এ সময়ে বিভাগে ৮৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ৭৮ জন, কুড়িগ্রামের ৪৭ জন, দিনাজপুরের ৩৫ জন, লালমনিরহাটের ২৩ জন, গাইবান্ধার ২০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৬ জন ও নীলফামারীর ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবারের তুলনায় মৃত্যু বাড়লেও শনাক্ত কমেছে।

নতুন করে মারা যাওয়া ১৬ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১৮ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৬৮ জন, রংপুরে ২০০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭৬, নীলফামারীতে ৬৬, পঞ্চগড়ে ৫৭, লালমনিরহাটে ৫৫, কুড়িগ্রামে ৫৩ ও গাইবান্ধায় ৪৩ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬৫ জন।

বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ১৭৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১২ হাজার ৬১৯ জন, রংপুরে ৯ হাজার ৮০৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৩২ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৮০০ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৫৩৭ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৪৭২ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ২১৫ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৬৯৩ জন রয়েছেন।

করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।

রংপুরের জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, চলতি মাসের ৩০ দিনে শুধু রংপুর মহানগর ও আট উপজেলায় করোনা সংক্রমিত ৩ হাজার ৮২৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছেন। তবে আগে তুলনায় এখন তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে।
 
এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে বিভাগের হাসপাতালগুলোতে সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। রোগী ভর্তির চাপ বাড়াতে অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে।

রংপুর বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি শয্যা রয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ