মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেডে রূপান্তরিত হওয়ায় হাসপাতালের অভ্যন্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

সোমবার (০৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আরশ্বাদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিটি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মানিকগঞ্জ জেলায় অস্বাভাবিকভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটি মানিকগঞ্জ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মানিকগঞ্জকে সম্পূর্ণরুপে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অধিক সংক্রমণ রোধকল্পে বিভিন্ন ওয়ার্ড/বিভাগ/ফ্লোরসহ অত্র হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সকল গণমাধ্যমকর্মীকে নিজেদের এবং হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের সুরক্ষার স্বার্থে হাসপাতাল অভ্যন্তরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এ ক্ষেত্রে তারা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করবেন। ইতোপূর্বে যেমন করে আমাদের সকল সেবা কার্যক্রম আপনারা সব সময় সহযোগিতা করে আসছেন সেটি অব্যাহত রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা। বিষয়টি অতীব জরুরি।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অতীন্দ্র চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমরা পজিটিভলি দেখছি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। তবে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে কোনো অনিয়ম, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা হলে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।

করোনা ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ডা. মানবেন্দ্র সরকার মানব বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেকোনো তথ্য প্রয়োজন হলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আরশ্বাদ উল্লাহর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের হাসপাতালে প্রবেশের নিষেধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সোহেল হোসেন/এমএএস