রংপুরে ৪ দিনে মৃত্যু ৫৮, ফাঁকা নেই আইসিইউ
রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৫৭ জন। এ নিয়ে চার দিনে বিভাগে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গড়ে প্রতি দিন ১৪ থেকে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের চারজন, দিনাজপুরের তিনজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, নীলফামারীর দুইজন ও কুড়িগ্রামের দুইজন রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৭৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৬৯ জন, কুড়িগ্রামের ৮৩ জন, নীলফামারীর ৬২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫৯ জন, পঞ্চগড়ের ৫৯ জন, দিনাজপুরের ৫৫ জন, গাইবান্ধার ৪৪ জন ও লালমনিরহাটের ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৪ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭৮ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৭৯ জন, রংপুরে ২১৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮৯, নীলফামারীতে ৭১, পঞ্চগড়ে ৬১, লালমনিরহাটে ৫৬, কুড়িগ্রামে ৫৬ ও গাইবান্ধায় ৫০ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৪৯ জন।
বিজ্ঞাপন
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১২ হাজার ৯৮০ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৩৭১২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৩০২ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৯৯৫ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৮০৩ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৭৮৩ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৩২৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৯২৫ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২২ হাজার ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়াতে রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলো অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতি দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
বর্তমানে বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি শয্যা রয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর