রংপুরে বিভাগে শনাক্ত ছাড়াল ৪৭ হাজার
রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৩১ জন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্ত রোগী ৪৭ হাজার ৫১৯ জনে পৌঁছেছে।
নতুন আটজন নিয়ে মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪ জনে। শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দিনাজপুরের চারজন, রংপুরের তিনজন ও ঠাকুরগাঁওয়ের একজন রয়েছেন। এ নিয়ে আগস্টের ছয় দিনে বিভাগে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবারের তুলনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে।
এ সময়ে বিভাগে ২ হাজার ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দিনাজপুরের ১৩৮ জন, রংপুরের ১১৯ জন, কুড়িগ্রামের ৭২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৬৪ জন, পঞ্চগড়ের ৪৮ জন, গাইবান্ধার ৪০ জন, নীলফামারীর ৩১ জন ও লালমনিরহাটের ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ২৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
নতুন করে মারা যাওয়া ৮ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৮৬ জন, রংপুরে ২২৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯৪, নীলফামারীতে ৭১, পঞ্চগড়ে ৬৩, লালমনিরহাটে ৫৭, কুড়িগ্রামে ৫৬ ও গাইবান্ধায় ৫১ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩৪ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৫১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১৩ হাজার ১৯০ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৬২৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৪৪০ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৭৫ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৮৭৮ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৯২০ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৩৬৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ৩ হাজার ২০ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়াতে রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলো অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতি দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর