গত ৩০ জুলাই চুয়াডাঙ্গায় রিপন নামের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এমন খবরে পরিবারের লোকজন কবর খনন শেষ করেন। তবে শেষে জানতে পারেন, রিপন মারা যাননি। ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে সেই কবরে কলাগাছ রেখে ভরাট করা হয়।

অবশেষে শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন মারা যান। শুক্রবার রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী হোসেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ২৯ জুলাই রাতে গ্রামের বাড়িতে ওই হাসপাতালে থেকে এক স্বজনের মাধ্যমে রিপন মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে পরদিন সকালে কবর খননও করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরে জানতে পারে রিপন মারা যাননি, বেঁচে আছেন। সেই খনন করা কবরে কলাগাছ দিয়ে ‘আক্ষরিক’ দাফন করা হয়। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে ওই হাসপাতালেই রিপনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যুদুপুর গ্রামের মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে রিপন। তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। গত ২৪ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবশেষে ১৩ দিন পর শুক্রবার বিকেলে না-ফেরার দেশে চলে যান।

শনিবার (৭ আগস্ট) মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।

আফজালুল হক/এনএ