যমুনার প্রবল স্রোতে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০ মিটার স্পারের সিসি ব্লক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ১৫টি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। 

ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, সকাল ৮টার দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বানিয়াজান স্পারটি হঠাৎ ধসে গেছে। স্পারটি পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এই স্পারটি রক্ষা করা না গেলে এই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। 

এ বিষয়ে শিমুলবাড়ী গ্রামের আজিবর রহমান ও চাঁন মিয়া বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের বৈশাখী ও বাঁধানগর গ্রামের যমুনা নদী থেকে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে কতিপয় প্রভাবশালী। তাই প্রতিনিয়ত নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাটির দিকে আসছে। এ কারণে প্রতিদিনই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোনো না কোনো স্থান ভেঙে যাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান চালালেও পরবর্তীতে আবারো প্রভাবশালীরা বালু উত্তোলন শুরু করে।

এ ব্যাপারে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের স্পার ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত স্পারটি মেরামত করবেন। এ ছাড়া যমুনায় বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে প্রায় অর্ধশত বালু ব্যবাসায়ীকে জেল ও জরিমানাও করা হয়েছে। এরপর আবারো সেখানে অভিযান চালানো হবে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানির প্রবল স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০ মিটার অংশ ধসে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে ঠিকাদার পাঠানো হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
 
সাখাওয়াত হোসেন জনি/এসপি