করোনায় মারা গেছে ছেলে সাহাবুদ্দিন। তার মৃত্যুর ১৩ দিন পর মা আমেনা বেগমও মারা যান করোনা আক্রান্ত হয়ে। তাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে দুই মেয়ে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আড্ডা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আমেনা বেগমের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। এক ছেলে বিদেশ থাকে। ছেলে সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। কিছুদিন পর তিনিও করোনা আক্রান্ত হন। তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।  শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। ১৩ দিনের ব্যবধানে মা-ছেলে মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসেনি। লাশ বাড়িতে পড়ে থাকার খবর পেয়ে ছুটে যায় গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিম।

গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিমের প্রধান মো. আবদুল হান্নান জানান, স্থানীয় একজনের ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি, আমেনা বেগমের লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসছে না। তাৎক্ষণিক আমাদের টিমের ছয় সদস্যকে পাঠানো হয়। জানাজা শেষে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে অনেক দূর হেঁটে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করা হয়। কেউ মাটি দিতেও এগিয়ে আসেনি।

আড্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ছেলে মারা যাওয়ার ১৩ দিনের মাথায় মায়ের মৃত্যুর এমন ঘটনা দুঃখজনক। বর্তমানে তার দুই মেয়ে ফরিদা আক্তার ও রাশেদা আক্তার করোনায় আক্রান্ত। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রামের মানুষ সচেতন না। করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আবার হাসপাতালেও যাচ্ছেন না। অনেকে বাড়িতেই মারা যাচ্ছে।

এসপি