নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বালিশচাপা দিয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগে সৎমা নুরজাহান আক্তার নুপুরকে (২৩) কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার নুরজাহান আক্তার নুপুর উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের আবিরপাড়া গ্রামের ওমর ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী। নিহত শিশু আব্দুল্লাহ আল নাফিজ (৮) ওমর ফারুকের প্রথম স্ত্রীর সন্তান।

রোববার (৮ আগস্ট) সকালে শিশুটির বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ সৎমা নুরজাহান আক্তার নুপুরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা হারা শিশুটি এতিমখানা থেকে বাড়িতে এনে তার সৎমা নির্যাতন করত। তার পিতার অনুপস্থিতে তার সৎমা শনিবার রাত ৯টার দিকে শিশু নাফিজকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে মরদেহ মুড়িয়ে খাটের ওপর মরদেহ শুইয়ে রাখে। 

পরে তার পিতা বাড়িতে এসে তার সন্তানকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সৎমাকে অন্যের ঘর থেকে ডেকে আনে। একপর্যায়ে খাটের ওপর কাঁথা উঁচু করে মোড়ানো দেখে কাঁথা সরিয়ে দেখে শিশুটির মরদেহ। তার নাকের পাশ দিয়ে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানান স্থানীয়রা।

নিহত শিশুর মা নুর নাহার অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। স্বামী মো. ওমর ফারুকের সঙ্গে গ্রামের নুপুর নামে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হলে একপর্যায় সে ওই মেয়েকে বিবাহ করে।

তিনি আরও বলেন, এরপর ২০১৯ সালে সে আমাকে তালাক দেয়। এরপর আমাদের সন্তান শাহানাপাড় একটি এতিমখানায় পড়ালেখা করত। শিশুটি এতিমখানা থেকে বাড়িতে এলে তার সৎমা নির্যাতন করত।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগে শিশুটির পিতা তার সৎমাকে আসামি করে মামলা করেন। তাই সৎমা নুপুরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর