গণটিকাদান শুরুর দুদিনেই প্রায় শেষ ভ্যাকসিনের মজুদ। এ ঘটনায় বাধ্য হয়ে গণটিকাদান স্থগিত করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। গতকাল শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে এ গণটিকাদান শুরু হয়।

কথা ছিল আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত গণটিকাদান কার্যক্রম চালাবে রাসিক। এ ছয় দিনে সবমিলিয়ে দেড় লাখ মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্য ঠিক করেছিল নগর কর্তৃপক্ষ।

নগরীতে ভ্যাকসিন মজুদ ঘাটতির বিষয়টি গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। 

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল নগরীর দেড় লাখ মানুষকে টিকা দেব। প্রথমে আমরা ৮২ হাজার টিকা পেয়েছিলাম। দুই দিন ক্যাম্পেইন চালানোর পর আমাদের হাতে আর যে অবশিষ্ট টিকা আছে তা দিয়ে ৮৪ কেন্দ্রে একদিন ক্যাম্পেইন করা সম্ভব নয়। তাই ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। 

তবে আগের নিয়মে সোমবার (৯ আগস্ট) থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদান চলবে।

 তিনি যোগ করেন, শুনছি সেন্ট্রালই টিকার ঘাটতি। এ কারণে আর এখনই হয়ত পাব না। টিকা পেলে আবারও ক্যাম্পেইন শুরু হবে। 

কেবল নগরেই নয়, রাজশাহী জেলার নয় উপজেলাও ফুরিয়েছে টিকার মজুদ। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, সিনোফার্মের ৩৩ হাজার ৬০০ ডোজের কিছু বেশি টিকা মজুদ ছিল জেলায়। 

টিকাদান ক্যাম্পেইনেই তা শেষ হয়ে যায়। এই ক্যাম্পেইনে নিজেদের সক্ষমতা যাচাই হলো বলেও জানান সিভিল সার্জন।

এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগজুড়ে রোববার (৮ আগস্ট) প্রথম ডোজে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৫১ জন। একই দিন এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন রাজশাহী নগরীর ১৭৪ জন।

 রোববার রাজশাহী নগরীতে মর্ডানা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৪ জন।  

সবমিলিয়ে এই দিনে বিভাগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ২৪৬ জন। ১ হাজার ৬৯০ জন নিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ।

এমএএস