বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাসপাতালে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৫ এবং করোনায় ৬ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। আরটি-পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। যা কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় কম। স্বাস্থ্য দফতর বলছে, লকডাউনের সুফলে কমতে শুরু করেছে সংক্রমণের হার। তবে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে চলাচল করলে আবারও বাড়তে পারে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় থেকে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে ১ আগস্ট আক্রান্ত হয় ৬৮৫ জন, মারা যান ১৬ জন।

২ আগস্ট আক্রান্ত হন ৭৯৮ জন, মারা যান ৩১ জন। ৩ আগস্ট আক্রান্ত হন ৭৪০ জন, মারা যান ১৮ জন। ৪ আগস্ট আক্রান্ত হন ৭৭৩ জন, মারা যান ১৪ জন। ৫ আগস্ট আক্রান্ত হন ৮৫৮ জন, মারা যান ৩২ জন।

৬ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হন ৬২৪ জন, মারা যান ২৮ জন। ৭ আগস্ট আক্রান্ত হন ১৯৫ জন, মারা যান ২৩ জন। ৮ আগস্ট আক্রান্ত হন ৪৭৯ জন, মারা যান ২০ জন।

এদিকে রোববার (০৮ আগস্ট) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণ তথ্যে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে ভোলা জেলায় ১৩৭ জন।

এ পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছে ৫৭ জন।  

বরিশাল জেলায় নতুন ৯৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৬০ জন।

পটুয়াখালী জেলায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩০০ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৮০ জন।

পিরোজপুর জেলায় নতুন ৩১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৭৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৭৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৯২ জন।

বরগুনা জেলায় নতুন ৩২ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৪২ জন। ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু নিয়ে মোট মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন।

ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৬ জন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত  হয়েছেন ৪ হাজার ৩১৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু না হলেও মোট মারা গেছেন ৬৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪৮ জন।

মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১৫ জন উপসর্গ নিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে একজন, পটুয়াখালী হাসপাতালে দুইজন, ভোলা সদর হাসপাতালে একজন এবং বরগুনা সদর হাসপাতালে দুইজন করোনা রোগী মৃত্যুবরণ করেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন জানান, বিগত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে ২১ জন ভর্তি হন। এর মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ২২৭ জন চিকিৎসাধীন রোগী আছেন। 

প্রসঙ্গত, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) বিভাগে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। আরটি-পিসিআর ল্যাবে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৪৭৯ জন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর