মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে চাষ হচ্ছে অ্যাভোকাডো ফল

অ্যাভোকাডো ফলটি দেখতে অনেকটা আমের মতো। খেতেও বেশ সুস্বাদু। আবার এটি অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বিদেশি এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, মিনারেল, শর্করা, খনিজ পদার্থ ও প্রোটিন। অ্যাভোকাডো ফল চাষে সাফল্য পেয়েছে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার।

সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার অফিস থেকে জানা যায়, আফ্রিকান দেশে মূলত এই অ্যাভোকাডো ফলের চাষ হয়। আর এই অ্যাভোকাডো ফলের চাহিদা রয়েছে পৃথিবীজুড়ে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে এই ধরনের অ্যাভোকাডোসহ অন্যান্য উচ্চমূলের যে সব ফল বা ফসল রয়েছে, সেগুলোর বিকাশ সাধনে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। 

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে স্যারদের কাছে এই অ্যাভোকাডো ফলের নাম শুনেছি। এটিকে বয়স ধরে রাখার ফল বলা হয়। এটিকে বাটার ফলও বলা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে অ্যাভোকাডো উচ্চমূলের ও পুষ্টিকর ফল। মেক্সিকো থেকে শুরু করে এই ফল বর্তমানে পৃথিবীজুড়ে চাষ হচ্ছে। আর তার থেকেও বড় কথা হলো এখন মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে অ্যাভোকাডো ফলের চাষ হচ্ছে।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. রকনুজ্জামান বলেন, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই অ্যাভোকাডো ফলের গায়ের রং অনেকটা আমের মতো। গাঢ় সবুজ দেখায়। ফলটি যখন পেকে যায়, তখন ভেতরের অংশ অনেকটা মাখনের মতো দেখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু। আমরা হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসসহ বাসাবাড়ির ছাদে এই ফলের চারা রোপণ করার পরামশ দিয়ে আসছি।

এমএসআর