কক্সাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩৪ শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের টিকাদান শুরু করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা এ টিকা গ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে প্রতি ক্যাম্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে টিকা নিচ্ছেন ৫৫ বছরের ঊর্ধ্ব রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা।

এর আগে সকালে নিজ নিজ ক্যাম্পের আরআরআরসি প্রতিনিধি ক্যাম্প ইনর্চাজ টিকাদান উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্প, শালবন, জাদিমুরা ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষদের জন্য আলাদা বুথে টিকাদান দেওয়া হচ্ছে।

এতে স্বাস্থ্য বিভাগসহ দাতা সংস্থার লোকজন সহাতায় দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এপিবিএনের সদস্যরা কাজ করছে। এসব কেন্দ্রে প্রথম দিনে দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা টিকা নেওয়ার কথা রয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, জেলায় ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এর মধ্য ১৯ হাজার ২৯৭ জনের জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ২ হাজার ৬৫৪ জন শরণার্থী। এখন পর্যন্ত জেলায় ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য ২৯ জন রোহিঙ্গা ছিল।

সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গাদেরও টিকাদান শুরু হয়েছে। প্রত্যাক ক্যাম্পে ৫৫ বছরের ঊর্ধ্ব নারী-পুরুষদের টিকাদান চলছে। এ কার্যক্রমে সাড়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা টিকার প্রথম ডোজ পাবে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এমআরএইচ ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের  টিকাদান শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টিকাদান চলবে।

মুহিব/এমএসআর