উত্তরে শীতের দাপট, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
ঘন কুয়াশায় দূরের যানবাহন দেখা দায়
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ৫ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগান্তি। শীত কারো কাছে আর্শীবাদ মনে হলেও এ জেলার মানুষের জীবন সংগ্রামের কাছে অভিশাপ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার ৫ উপজেলায় সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া বইছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সূর্যের মলিন হাসির দেখা মিললেও নেই উত্তাপ। ফলে মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াছায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ।
এদিকে, কনকনে শীতের কামড়ে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা। কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অনেককেই বেকার সময় পার করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
তাছাড়া দিন দিন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি শীতজনিত রোগে ভুগছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নের গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র করা হয়েছে। তবে যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলানায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানায়, পঞ্চগড় থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর শীতের দাপট বেশি থাকে। গত কয়েক দিনে ধরে হিমালের হিমবায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারনে জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আগামী দুই/একদিনের মধ্যে আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসপি