ভোলার লঞ্চঘাট সরগরম, স্বস্তিতে শ্রমিকরা
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের মতো বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকেই ভোলার লঞ্চঘাটগুলো থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রায় আট দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চালু হওয়ায় ঘাটগুলোতে বিরাজ করছে ব্যস্ততা। এতে শ্রমিক ও যাত্রীদের মাঝে খুশির সঞ্চার হয়েছে।
ভোলা থেকে বরিশাল, লক্ষ্মীপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও নিকটবর্তী জেলাগুলোর বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। ভোগান্তি ছাড়া সহজে লঞ্চে যাতায়াত করতে পেরে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
বিজ্ঞাপন
বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর সরকারের এই ঘোষণায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ভোলার লঞ্চশ্রমিক ও যাত্রীদের মাঝে।
সরেজমিনে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে এসটি খিজির-৫, এমভি পারিজাত, খিজির-৮ সহ পাঁচটি লঞ্চ পালাক্রমে যাত্রী পারাপার করছে। তার পাশাপাশি বেলা ১টা ও দেড়টা ঢাকা থেকে ওয়াটার বাস এমভি গ্রিনলাইন-২ ও এমভি দোয়েল পাখি লঞ্চ প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশা ঘাটে আসে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় ইলিশা লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। বেলা ২টা এমভি গ্রিনলাইন-২ ও এমভি দোয়েল পাখি ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ধারণক্ষমতার অধিক প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
ঢাকা থেকে ভোলায় এসেছেন এমভি গ্রিনলাইন-২ এর যাত্রী মো. সোহাগ বলেন, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার কথা বললেও লঞ্চের ভেতরে অনেকের মুখে মাক্স ছিল না। লঞ্চ থেকে নামার সময় যেই জটলা ছিল, তাতে যার করোনা নেই, তার ও করোনা হয়ে যাবে।
এমভি দোয়েল পাখির এক যাত্রী রাজিব ঘোষ বলেন, অনেক দিন পরে লঞ্চ ছেড়েছে। এতে আমরা যারা দেশের বিভিন্ন জেলায় আটকা পড়েছিলাম, তাদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাললে যাতায়াতে আর ভোগান্তি হবে না।
এমভি গ্রিনলাইনের ম্যানেজার লক্ষদাস বলেন, সরকারেন নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যাত্রী পরিচালনা করতেছি। আমাদের ভাড়ার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের ভাড়াই আমরা যাত্রীদের থেকে নিচ্ছি।
ভোলার বিআইডব্লিউটিসির উপপরিচালক কামরুজ্জামান জানান, ভোলা থেকে সকাল থেকেই অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চে যাত্রী পারাপার চলছে। পাশাপাশি জেলা সদরসহ ভোলার ছয়টি উপজেলা থেকে আজ ২২টি যাত্রীবাহী লঞ্চ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এতে অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক যাত্রী যেতে পারবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালানো হবে। লঞ্চে ওঠার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজিং, মাক্স পরিধান এবং জীবাণুনাশক ছিটানো নিশ্চিত করেই লঞ্চ চলাচল করছে।
এনএ