করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়েছেন রাজশাহীর তানোর এবং বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও)। বুধবার (১১ আগস্ট) তাদের দুজনকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন দফতর।

ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদানের উদ্বোধনীতে স্থানীয় এক বৃদ্ধের শরীরে টিকা পুশ করেন রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। ৭ আগস্টের ওই ঘটনায় বাগমারার টিএইচও ডা. গোলাম রাব্বানী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার ও ইউএনও শরিফ আহম্মেদ প্রমুখ।

অন্যদিকে, ১০ আগস্ট পৌর সদরের নিজ বাসায় বসে করোনার টিকা নেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। টিএইচও বার্নাবাস হাঁসদাক চেয়ারম্যানের বাসায় ভ্যাকসিনসহ পোর্টার নিশান মণ্ডল ও ইপিআই মেডিকেল টেকনিশিয়ান জহির উদ্দিনকে পাঠান। জহির সঙ্গে থাকলেও টিকা পুশ করেন পোর্টার নিশান মণ্ডল।

এই দুটি ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুই টিএইচও শাস্তির মুখে পড়েছেন।

সিভিল সার্জন দফতর জানিয়েছে, প্রশিক্ষিত না হয়েও ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক কীভাবে টিকা পুশ করলেন সেই ব্যাখা চাওয়া হয়েছে বাগমারার টিএইচওর কাছে। অন্যদিকে, কীভাবে টিকাদান কেন্দ্রের বাইরে টিকা গেল এবং পোর্টার টিকা পুশ করলেন সেটির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তানোরের টিএইচওর কাছে।

নিজের কারণ দর্শানোর ঘটনা স্বীকার করেছেন তানোরের টিএইচও ডা. বার্নাবাস হাঁসদাক। তিনি বলেন, এ নিয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি ওই ঘটনার ব্যাখা চেয়েছেন। তিনি এখন ঢাকার পথে থাকায় চিঠিটি দেখেননি। যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বাগমারার টিএইচও ডা. গোলাম রাব্বানী।

তবে জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, দুটি ঘটনার ব্যাপারেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধু এটুকুই বলতে পারি। এর বেশি কিছু বলা যাবে না।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, দুই উপজেলার দুটি ঘটনা আমার দৃষ্টিতে আসার পর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিভিল সার্জনকে বলে দিয়েছি। তিনি শোকজও করেছেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর