সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি ও তার ছেলে দাবি করা মোহাম্মদ ইসহাক

কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে মামলা করেছিলেন মোহাম্মদ ইসহাক (২৬) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সহকারী জজ আদালত টেকনাফের বিচারক মো. জিয়াউল হক। কিন্তু ঢাকায় অবস্থান করার কারণে সমন পাননি বলে দাবি করে আদালতে হাজির হননি বদি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমন পাননি বলে আদালতে হাজির হননি আব্দুর রহমান বদিসহ বেশিরভাগ আসামি। যেহেতু ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুনকেও আসামি করা হয়েছে, সেহেতু তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি (বদি) যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন তাহলে অবশ্যই আদালতে উপস্থিত হবেন। হয়তো নতুন করে একটা সময় পাবেন আসামিরা।

আদালত চত্বরে মোহাম্মদ ইসহাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার আইনজীবীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনেক আইনজীবী কথা দিয়েও আদালতে আসেননি। তারপরও একজন আমার পক্ষে লড়ছেন। আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। না অজুহাত দিয়ে সময় নিচ্ছে আমার বাবা। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ ইসহাক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে বাবা দাবি করে টেকনাফের সহকারী জজ মো. জিয়াউল হকের আদালতে মামলা করেন। প্রয়োজনে তিনি ডিএনএ পরীক্ষার আর্জি জানান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪ জানুয়ারি আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে সমন জারি করেন।

মামলায় বাদী মোহাম্মদ ইসহাক (২৭) এজাহারে তার বাবার নাম লিখেছেন আব্দুর রহমান বদি টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুকখালী। তাকে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসহাক তার এজাহারে বলেছেন, বদিদের এক সময়ের পারিবারিক মিস্ত্রী মোহাম্মদ ইসলামের সংসারে তিনি লালিত-পালিত হয়েছেন। মোহাম্মদ ইসলামের সঙ্গে বাদীর মা সুফিয়া খাতুনের ‘দ্বিতীয়’ বিয়ে হয়। বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন দক্ষিণ মুহুরীপাড়ায় বসবাস করার কথা আর্জিতে জানান ইসহাক।

বিবাদী আব্দুর রহমান বদি টেকনাফ পৌর এলাকার চৌধুরীপাড়ার এজাহার মিয়া ওরফে এজাহার কোম্পানীর ছেলে। তিনি কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আকতার চৌধুরী তার স্ত্রী।

মামলায় দুই নম্বর মূল বিবাদী করা হয়েছে বদির চাচা পৌর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলামকে। জন্ম সনদে বদির নামের পরিবর্তে মোহাম্মদ ইসলামের (সুফিয়ার স্বামী) নাম বসানোর কারণে তাকে বিবাদী করা হয়েছে। 

এ ছাড়াও ইসহাকের মা সুফিয়া খাতুন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান, একই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে। 

আরএআর