মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক মেয়েকে বিয়ে করা নিয়ে দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার দুই দিন পর আহত প্রবাসী সাহার মিয়া (৩৫) মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজনগর থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুপ্রাকান্দি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুপ্রাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হক মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী সাহার মিয়া (৩৫) সম্প্রতি একই গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। এদিকে ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন তার চাচাতো ভাই মৃত মনির মিয়ার ছেলে সোয়াই মিয়া (৩০)।

সোয়াই মিয়ার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ার সময় বিষয়টি সাহার মিয়া জানতে পারেন। সাহার মিয়া প্রস্তাবের ওপর সোয়াই মিয়া প্রস্তাব দেওয়ায় সাহার স্থানীয় লোকজন জড়ো করে গত রোববার রাতে বিচারপ্রার্থী হন।

এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষে সাহার মিয়া (৩৫), সাব্বির মিয়া (৪৭), জুনেদ মিয়াসহ (৩০) কয়েকজন আহত হন।

সাহার প্রথমে রাজনগর ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে সোয়াই মিয়ার ভাই সাব্বির আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে সাহার মৌলভীবাজার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বুধবার (১২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তিনি টয়লেটে প্রবেশ করলে হঠাৎ কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান ঘরের লোকজন। সবাই টয়লেটের দরজায় ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পরে ওপরের টিনের চাল কেটে প্রবেশ করে সাহারকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্তায় তাকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রাতেই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে রাজগর থানার পুলিশ সেখানে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাব্বির মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, একটি মেয়েকে বিয়ে নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন। সাব্বির মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

ওমর ফারুক নাঈম/এমএসআর