ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির খানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাত ১১টায় পৌর এলাকার পালবাড়ি সড়কে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কুদ্দুস হাওলাদারের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার সূত্রপাত রাত ৯টায়। বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার পেয়ারাবাগানে পিকনিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কাউন্সিলর হুমায়ুনের ছেলে আবিদ খান (১৭)। পিকনিকের প্রস্তুতিতে বাধা এবং কথা কাটাকাটি হয় কিশোর বয়সী আরেকটি দলের সঙ্গে। সেই দল হুমায়ুন কবিরের ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরবর্তীতে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের পালবাড়ির বাসায় হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগমকে আহত করা হয়।

ঘটনার সময় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খান পশ্চিম ঝালকাঠি ফেরিঘাট এলাকায় অন্য বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাকে বাসা থেকে খবর দেওয়া হলে রাত ১১টার দিকে পালবাড়িতে আসার পথে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।

এতে তার বাম হাতের কব্জি দুই ভাগ হয়ে যায়। তাকে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাত দেড়টায় তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে হুমায়ুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তার ২০-২৫ জন লোক এ হামলা চালিয়েছে। 

তবে কাউন্সিলর কামাল শরীফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এলাকায় কোনো কিছু হলে হুমায়ুন কবির গংরা আমাকে এবং আমার ভাইদের দোষারোপ করে। তাকে যেভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এটা কখনোই কাম্য নয়। তবে এই ঘটনায় আমি বা আমার কোনো ভাই জড়িত নই। কিন্তু যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করে আমাদের ওপর মিথ্যে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পালবাড়ি এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

ইসমাঈল হোসাঈন/এসপি