বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ফুলহাতা লঞ্চঘাটের পন্টুন ফুটো হয়ে তিন দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে। ফলে পন্টুনে ভিড়তে পারছে না লঞ্চ ও যাত্রীবাহী ট্রলার। বাধ্য হয়ে কাঁদা-পানির মধ্য দিয়েই লঞ্চ-ট্রলারে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বহরবুনিয়া ও পঞ্চকরণ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এই পন্টুনটি অল্প সময়ের মধ্যে বদলানো হবে।

পানগুছি নদীর তীরে অবস্থিত সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ লঞ্চঘাটটি। ইউনিয়নের লোকজন জেলা সদর, উপজেলা সদরসহ ইউনিয়নের বাইরে যোগাযোগের জন্য ট্রলার ও লঞ্চ ব্যবহার করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাটটির পন্টুন বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) থেকে পানির নিচে তলিয়ে আছে। ভোগান্তি কমাতে দ্রুত এ পন্টুন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফুলহাতা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম, লাভলু মল্লিক, আজিজুলসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের এলাকা থেকে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ ও ট্রলার। কিন্তু পন্টুনটি পানির নিচে থাকায় আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। ভাটির সময় লঞ্চে উঠতে পারাতে হয় কাঁদা আর জোয়ারের সময় পানি। দ্রুত অকেজো পন্টুনটি সরিয়ে নতুন পন্টুন বসানোর দাবি জানান তারা।

ফুলহাতা লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. শাহজামান হাওলাদার মন্টু বলেন, বছর খানেক আগে বিআইডব্লিউটিএর একটি জাহাজ এ পন্টুনে বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু স্রোতের কারণে পন্টুনসহ জাহাজটি নদীর মাঝে চলে যায়। তখন পন্টুনে পানি উঠে যায়। পরে পন্টুনটি আবারও ঘাটে আনা হয়েছিল। তখন পন্টুনটি বেশ ক্ষতি হয়। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) থেকে পন্টুনটির বেশিরভাগ অংশ পানির নিচে চলে গেছে। কোনো লঞ্চ ও ট্রলার পন্টুনের সঙ্গে ভিড়তে পারছে না। ফলে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়ছে।

বিআইডব্লিউটিএ খুলনার যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুনটি মেরামতের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে মেরামতের জন্য নেওয়া হবে। এখানে নতুন পন্টুন দেওয়া হবে।

তানজীম আহমেদ/এসএসএইচ