করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কৃতী সন্তান ডা. সালেহ আহমেদ (৭০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের মরহুম আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। কর্মজীবনে তিনি দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিআইসি, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ সাতক্ষীরা জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর তিনি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগে অবসরকালীন নিজ এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক-হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তৌহিদুল ইসলাম তুহিন ও ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক কবিরাজ।

জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হলে প্রায় ২ সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয় ডা. সালেহ আহমেদকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আইসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনার কাছে হার মেনে মারা যান তিনি।

ডা. সালেহ আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সর্বস্তরের জনগণ। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারা।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন ও ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম।

দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, এক মাস আগে ডা. সালেহ আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে রোববার দুপুরে তিনি মারা যান।

রাজু আহমেদ/এমএসআর