পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে বাবাও আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১৫ আগস্ট) উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের পূর্ব সাপলেজার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- ঝাটিবুনিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকির হোসেন  (৪৮) ও তার মেয়ে জান্নাতি আক্তার হ্যাপি (১৯)। 

এ ঘটনায় নিহত হ্যাপির দাদা আব্দুল মান্নান (৯০) বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেছেন।  মামলার পরপরই প্রধান আসামি উপজেলার খেতাছিড়া গ্রামের মৃত ফরিদ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল।

মামলার বাদী আব্দুল মান্নান বলেন, আমার নাতনি জান্নাতি আক্তার হ্যাপির সঙ্গে পাঁচ-ছয় বছর আগে আসামি মামুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মামুন অন্য নারীদের সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা বলতো। এ নিয়ে গতকাল রোববার হ্যাপি জিজ্ঞাসা করলে মামুন তাকে বলেছে ‘তোর সাথে সংসার করবো না, তুই মরলে মর যাইয়া। তুই মরলে আমি বাঁচি’। এসব কথা সহ্য করতে না পেরে দুপুরে বাবার বাড়িতে জান্নাতি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডা. সোনিয়া আক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে রাত সোয়া ৯টায় মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে শুনে আমার ছেলে জাকির নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডা. রাজু চন্দ্র শিকদার মৃত ঘোষণা করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় আমরা গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মামুনকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মেয়ে এবং বাবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুরে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। 

আবীর হাসান/আরএআর