পাবনা জেনারেল হাসপাতাল টিকাকেন্দ্রে এমবিবিএস শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে টিকা ছাড়াই সুঁই পুশের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি। সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। 

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকাকে টিকা ছাড়াই সুঁই পুশের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি মেয়ের কাছ থেকে জানার পর হাসপাতালে অভিযোগ করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই টিকাকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স মেরিনা গোমেজ ও মিতা খাতুনকে প্রত্যাহার করা হয়। 

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনিয়ম হয়েছিল বলেই অভিযোগ করেছিলাম। বিচার চাইনি। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবাদ করেছিলাম। আমার অভিযোগ যদি তাদের কাছে ভিত্তিহীন মনে হয় তাহলে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তারা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করেছেন এটাই আমার সফলতা। 

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর ঢাকা পোস্টকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই দুই নার্সকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্য দুইজন ছিলেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকের অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুর রহমান এবং জেলা পাবিলক হেলথ নার্স শাহানারা বেগম। 

সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে তারা অধিকতর তদন্তের জন্য সময় বাড়িয়ে মোট ১০ কার্যদিবস শেষে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, যেহেতু অভিযোগ উঠেছিল তাই  সংশ্লিষ্টদের পরবর্তীতে আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর