জেলেদের জালে উঠে এল চিকিৎসকের নিথর দেহ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের খিরু নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ চিকিৎসক অমিত কুমার সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় জেলেদের জালে উঠে আসে তার মরদেহ।
ডা. অমিত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করা এ নবীন চিকিৎসক গাজীপুর মহানগরীর মৃত দুলাল রায়ের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজ আরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নৌভ্রমণে বের হন ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ কয়েকজন কর্মী।
এক পর্যায়ে নৌকা নিয়ে তারা পাশের শ্রীপুর উপজেলায় চলে যান। সেখান থেকে খিরুনদী দিয়ে ফেরার পথে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে রাত ৮টার দিকে বিপরীতগামী একটি বালুভর্তি ট্রলারের (বলগেট) সঙ্গে তাদের নৌকার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় নৌকা থেকে যাত্রীরা পানিতে পড়ে যায়। পরে অনেকেই সাঁতরে উঠে আসতে পারলেও চিকিৎসক অমিত কুমার ও তানভীরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা তাদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। রাত ১২টার দিকে তানভীরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর সকালে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয়রাও কাজ শুরু করেন। দুপুরে চিকিৎসক অমিতের খোঁজে স্থানীয় জেলেরা খিরু নদীতে জাল ফেলেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আধ কিলোমিটার দূরে তার নিথর দেহ জেলেদের জালে উঠে আসে।
এদিকে নৌ-দুর্ঘটনায় একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মেহেদী হান্নান খান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিন ইশরাক পাবনকে উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ডা. হাসিন ইশরাককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শিহাব খান/এসপি