পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল তিনটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে যাত্রী পারাপারের জন্য এই রুটে লঞ্চ চালাচল করছে।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের চাপ রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে আগত যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাট এলাকায় যাত্রীপারের জন্য ৮৭টি লঞ্চ চালাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চ ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। লঞ্চ চলাচল স্বভাবিক রয়েছে। ঘাটে সকাল থেকে ৮৭টি লঞ্চ চালাচল করছে।

এর আগে বুধবার সকাল থেকে এই নৌরুটে পাঁচটি কে-টাইপ ফেরি ও পাশাপাশি লঞ্চ চলাচল করে।  পরে পদ্মায় তীব্র স্রোতের ফলে আকস্মিকভাবে বিকেল ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে বাংলাবাজার ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহন চালকেরা ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে গেলে ফেরি চলাচল বাধার মুখে পড়ে। পদ্মা পার হতে গিয়ে চ্যানেল অতিক্রমের সময় ফেরিগুলো স্রোত উপেক্ষা করে চলতে ব্যর্থ হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাট এলাকায় ভারি যানবাহন না থাকলেও বেশ কিছু ছোট যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ফেরি ব্যবহারকারীদের বিকল্প রুট ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। 

বিআইডব্লিইটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্রোতের কারণে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। নদীতে স্রোত না কমলে ফেরি চলাচল স্বভাবিক হবে না। কারণ ফেরি চালকদেরও অনীহা রয়েছে ফেরি চালাতে। ফেরি ব্যবহারকারীদের আগে থেকেই বিকল্প রুট ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বলা আছে।

নাজমুল মোড়ল/আরএআর