লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না

স্থানীয় সংসদ সদস্যের টিকাদান এবং বাসায় বসে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টিকা নেওয়ার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছেন রাজশাহীর তানোর এবং বাগমারা উপজেলার দুই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও)। এ নিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন তারা।

এরই মধ্যে জেলার সিভিল সার্জন বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ জবাব দিয়েছেন দুই টিএইচও। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) তা স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে বিভাগীয় সিভিল সার্জন দপ্তর। 

ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদানের উদ্বোধনীতে স্থানীয় এক বৃদ্ধের শরীরে টিকা পুশ করেন রাজশাহী-৪ (রাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য  ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। গত ৭ আগস্টের ওই ঘটনায় বাগমারার টিএইচও ডা. গোলাম রাব্বানী ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার এবং ইউএনও শরিফ আহম্মেদ প্রমুখ।

অন্যদিকে ১০ আগস্ট পৌর সদরের নিজ সরকারি বাসায় বসে করোনার টিকা নেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। টিএইচও বার্নাবাস হাঁসদাক চেয়ারম্যানের বাসায় ভ্যাকসিনসহ পোর্টার নিশান মণ্ডল ও ইপিআই মেডিকেল টেকনিশিয়ান জহির উদ্দিনকে পাঠান। জহির সাথে থাকলেও টিকা পুশ করেন পোর্টার নিশান মণ্ডল।

এই দুটি ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ১১ আগস্ট বাগমারার টিএইচও ডা. গোলাম রাব্বানী এবং টিএইচও ডা. বার্নাবাস হাঁসদাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আর এমপি তাদের (স্বাস্থ্য অধিদফতর) অধীনে নন। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তারা নিতে পারেন না।

তাই নিজেদের অধিনস্তদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারাও পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে কাজটি করেছেন। তারা দুজনই নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, ভবিষ্যতে আর এ রকম কাজ করবেন না।

বিভাগীয় পরিচালক আরও জানান, ২ টিএইচও’র জবাবে তিনি সন্তুষ্ট। তবে নিয়ম অনুযায়ী তাদের জবাব স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। অধিদফতর থেকে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দিলে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর