বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম আশফাক

দ্বিতীয় ধাপে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠেয় কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম আশফাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

জেলা বিএনপি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ সময়ে এসে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের ফলে নেতাকর্মীরা বাসাবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কোনো কারণ ছাড়াই ভোটের মাঠে আতঙ্ক ছড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। 

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণা শেষ হয়। রাত ২টার দিকে শহরের শোলাকিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম আশফাককে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নেভিনসহ অন্তত ২০ নেতাকর্মীর বাসায় একাধিকবার অভিযান চালায় পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আমিনুল ইসলাম আশফাকের বিরুদ্ধে থানায় আগের কোনো মামলা না থাকলেও ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার আশঙ্কায়’ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম আশফাককে আদালতে নেওয়া হয়। পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যায় আমিনুল ইসলাম আশফাককে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠনো হয়েছে।

এএম