একই ব্যক্তিকে দুই ধরনের ওয়ারিশ সনদ দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪(৪) (খ) ও (ঘ) অপরাধ সংঘটিত করায় ৩৪(১) অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান পদ হতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এর আগে একই ব্যক্তিকে দুটি ওয়ারিশ সনদ প্রদান, ব্যক্তিগত যোগসাজস, পক্ষপাতমূলক আচরণ, আর্থিক লাভবান হওয়া, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তে  নামে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। এরপর গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে মামলার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে সাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ বলেন, সাতগ্রামের আবেদ আলী নামে এক ব্যক্তির ওয়ারিশ সনদ প্রদান করা হয়। সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা জমির টাকা নেওয়ার জন্য এই সনদ তৈরি করা হয়। ওই সনদের প্রতিলিপি তৈরি করে সেখানে ওয়ারিশের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ওয়ারিশ সনদে কোনো স্বাক্ষর দেননি বলে দাবি চেয়ারম্যানের। ওই সনদে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে তিনি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে ওই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এই খবর তিনি জানেন না বলে জানান।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোস্তইন বিল্লাহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ মিয়াকে বরখাস্ত করার বিষয়ে চিঠি পেয়েছেন। একই ব্যক্তির পৃথক ওয়ারিশ সনদ প্রদানের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাজু আহমেদ/এসপি