চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কের সোনাজল এলাকায় গণপরিবহনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। আটকদের মধ্যে ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক লাল্টু মিয়াও রয়েছেন। 

সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ডাকাতির পর মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা গণপরিবহনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাব-৫ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করে। 

আটকরা হলেন- ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছি হাটের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), মো. মহসীনের ছেলে ও জামবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক লাল্টু মিয়া, মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আব্দুল জাব্বার (২২) এবং মো. আব্দুল শুকুর আলীর ছেলে মো. মোকলেছুর রহমান (৪৮)। 

জানা যায়, ডাকাতির পর লাল্টু মিয়া নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোলাহাট-শিবগঞ্জ রোডে ডাকাতি হয়েছে এমন কথা লিখে পোস্ট করেন। 

র‍্যাব-৫ এর সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পে ডাকাত সদস্যের আটক ও অভিযানের বিষয়ে ব্রিফিং করেন র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান তালুকদার। 

তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বিরল। ডাকাতির ঘটনায় ১৫-১৬ জন অংশ নেয়। ঘটনার পর থেকেই অপরাধীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেন র‍্যাব-৫ এর সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে। র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

জিয়াউর রহমান তালুকদার বলেন, ডাকাতরা লাঠি দিয়ে ঢাকাগামী কোচের সামনের অংশ ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই করে। এছাড়া একাধিক ট্রাক, মোটরসাইকেল ও পিকআপে ছিনতাই হয়েছে। 

ভোলাহাট থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির ঘটনায় ৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা নগদ, ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা মূল্যের ১৬টি মোবাইল, ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে ডাকাতরা। 

র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান তালুকদার বলেন, ডাকাতির সময় এক বাসের হেলপারকে মারধর করতে গেলে মুখের মাস্ক খুলে যায় ডাকাত সদস্য আটক আনোয়ারের। এর সূত্র ধরে তাদেরকে আটক করেছে র‍্যাব। আটকের পর বাসের হেলপার ডাকাত সদস্যদের শনাক্ত করেছেন। এমনকি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি ডাকাত সদস্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র‍্যাব। 

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর