টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার।

এদিকে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানিবৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ ও গোখামারিরা।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন।

অন্যদিকে পানিবৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের মানুষ। এতে তারা ভীত হয়ে আছে। পানিবৃদ্ধিতে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার গোখামারিরাও।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আবদুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু করে আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। ঘর থেকে বের হতে পারছে না তারা। এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে জানান, যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা নিয়মিত পানির খোঁজখবর রাখছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে। কোনো এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ