উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে পাবনায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরের তথ্যমতে নগরবাড়ি যমুনা নদীর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার ও বড়াল নদের ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর, ঈশ্বরদী, বেড়াসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় সবজি ও ফসলের খেত তলিয়ে গেছে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকালে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েকদিনের তুলনায় পদ্মা, চলনবিল, বড়াল, গুমানি, চিকনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে।

জানা যায়, পদ্মা ও যমুনার তীরবর্তী নিচু এলাকাতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে যাচ্ছে উঠতি নানা ধরনের শবজি ও ফসলের খেত। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে তীরবর্তী জনসাধারণ। অনেকেই ইতোমধ্যে বাড়িঘর সরাতে শুরু করেছে। নদী ভাঙন ও পানিবন্দিরা উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।

ঈশ্বরদীর চরকামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়লিয়া, বেড়া অঞ্চলের নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। পূর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, চরশাফুল্লা, খয়েরবাগান বাজারসহ চর এলাকা, রূপপুর ও মাসুদদিয়া ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর এলাকা, পাবনা সদরের আশুতোষপুর, বলরামপুর, রানীনগরে ভাঙন ও পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক হেক্টর জমির নানা ফসল ও সবজি তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলছেন, পানি বৃদ্ধি বা ভাঙনের চিত্রটা এখনও ত্রাণ দেওয়ার মতো নয়। তবে সরকারি ত্রাণ সহায়তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যারা অন্যত্র আশ্রয় নেবেন তখন বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

রাকিব হাসনাত/এমএসআর