ত্রাণ তো দূরের কথা, কেউ খোঁজও নিল না
উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে মুন্সিগঞ্জ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের হাসাইল এলাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। প্রতিদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে তাদের নিত্যদিনের কাজকর্ম সারতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসাইল নদীতীরবর্তী হাসাইল গ্রাম পাশের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকায় মানুষের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে আছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের মান্দা, পাঁচনখোলা, আটিগাঁও, বীদগাঁও, বানারী , এলাকার কিছু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাঁচগাঁও এলাকায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে যাচ্ছেন শাহ আলম। তিনি যে এলাকায় বসবাস করেন, পুরো এলাকাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। তার এক বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে দীর্ঘ পথ পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে স্ত্রীসহ মূল রাস্তায় উঠেছেন।
বিজ্ঞাপন
শাহ আলম জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি থেকে দীর্ঘ পথ পানি দিয়ে হেঁটে উঠতে হয় সড়কে। যেভাবে পানি বাড়ছে, যেকোনো মুহূর্তে তাদের ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাবে।
বন্যাকবলিত সেকান্দর চৌকিদারি জানান, এক সপ্তাহ ধরে তাদের বাড়িতে পানি উঠলেও দিন দিন পানি বাড়ছে। এ পর্যন্ত তাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকলেও ত্রাণ তো দূরের কথা, কেউ তাদের খোঁজ নিতেও আসেনি।
আরেক বন্যাকবলিত আনসার আলী শেখ জানান, ঘরে বুকসমান পানি হলেও এখন পর্যন্ত ত্রাণ পাইনি। আর এখন তো সবেমাত্র বাড়িতে পানি উঠছে। ত্রাণ তো দূরের কথা, খোঁজখবর নেওয়ার জন্যও কাউকে আসতে দেখলাম না।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে পরিবারগুলোকে খাদ্যসহায়তা এবং অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
ব.ম শামীম/এনএ