দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে
তীব্র শীতেও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় খেটে খাওয়া মানুষ
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রির ঘরে এসেছে। ফলে অনূভুত হচ্ছে তীব্র শীত। কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে জেলার পাঁচ উপজেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশায় ঢেকে পড়ে চারদিক। তাছাড়া হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সূর্যের দেখা মিললেও থাকে না উত্তাপ। এতে কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে মানবেতর জীবন যাপন করছে জেলার গরিব অসহায় শীতার্তরা। অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞাপন
তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকায় প্রচণ্ড শীত এবং কুয়াশা পড়ছে। যার ফলে আমরা সময় মতো কাজে যেতে পারছি না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গরিব অসহায় ও শীতার্ত মানুষের জন্য মোট ২৮ হাজার শীতবস্ত্র ও ৩০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আরএআর