সাংবাদিক বালু হত্যায় বিস্ফোরক মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
নিহত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু
খুলনায় একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরিফ মাহমুদ লিটন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাহিদ, নজু ওরফে রিপন, রিমন ও স্বাধীনকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আসামি পলাতক রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালের ২৭ জুন নগরীর শান্তিধাম মোড়ে দৈনিক জন্মভূমি অফিসের সামনে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় তিনি নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন খুলনা থানার তৎকালীন এসআই মারুফ আহমদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম শিকদার সাংবাদিক বালু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) জনযুদ্ধের প্রধান আব্দুল রশিদ মালিথা ওরফে দাদা তপন, ইকবাল হোসেন ওরফে স্বাধীন, জাহিদুর রহমান ওরফে সবুজ, রিমন, নজরুল ইসলাম ওরফে খোড়া নজু, নাজিম উদ্দিন ও মাসুম। এছাড়া বিচারক পুলিশের দুর্বল প্রতিবেদন দাখিলের কথাও উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দুটির মধ্যে ব্যাপক গড়মিল থাকায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন বলে তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন।
২০ এপ্রিল বিচারক মোহাম্মদ সেকান্দার আলী মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। ১০ মে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জুন মামলার নথি গ্রহণ করেন। সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক অংশের মামলাটি অধিকতর তদন্তে বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যায়। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহাদত হোসেন সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
আরএআর