কুমিল্লায় স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধভাবে ফ্ল্যাট বাসায় ব্যবহারের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর ভূঁইয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দাউদকান্দিতে শহীদনগর এম এ জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে একটি ভবনে অভিযান পরিচালনা করেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম খান। এ সময় ভবনের মালিক আয়নাল সরকারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা যায়, স্কুল বন্ধ থাকার পরও গত দুই মাসে অস্বাভাবিক বিদুৎ বিল আসে। স্কুলের বিদুৎ বিল ও যাবতীয় খরচের রসিদে স্বাক্ষর করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন দুই মাসে ১২ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ বিল দেখে বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তদন্ত করে দেখার জন্য পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে জানানো হয়। বিদ্যুৎ অফিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ সংযোগের সত্যতা পায়। তারা দেখতে পান, প্রধান শিক্ষক আলমগীর ভূঁইয়া স্কুলের পেছনের দিক দিয়ে কৌশলে নিজের ফ্ল্যাট বাসায় অবৈধ সংযোগ নিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন।

ভবনের মালিক আয়নাল সরকার বলেন, এ ভবনে ৯টি মিটার রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর ভূঁইয়া এক বছরের বেশি সময় ধরে নিচতলায় ভাড়ায় থাকছেন। তিনি ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না। স্কুল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কবে এনেছেন আমি জানি না। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। একজন শিক্ষক এমনটা করতে পারেন, এটা ভাবাই যায় না। ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৯ এর ‘ক’ ধারানুযায়ী প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর ভূঁইয়াকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই ঘটনায় বাড়ির মালিক আয়নাল সরকারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অমিত মজুমদার/এসএসএইচ