গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে করোনায় মারা গেছেন একজন। অন্য চারজনের মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান। 

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে একজন মারা গেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারজন। এদের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন এবং নওগাঁর একজন রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের তিন নম্বর ওয়ার্ডে দুজন এবং নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ১৪ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন। 

পরিচালক আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৮৬ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৪০ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৩৩।

বর্তমানে রাজশাহীর ৬৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৮ জন, নাটোরের ১৮ জন, নওগাঁর ৯ জন, পাবনার ১৪ জন, কুষ্টিয়ার ১০ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন, জয়পুরহাটের একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫০ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৮ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৩২ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন।

এর আগে সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২৫ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৩৮২ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের। 

পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, জয়পুরহাটের ৭ দশমিক ০১ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩ দশমিক ২২ শতাংশ নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই সাত দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৫২ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৯ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ২৮ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি