লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দিনমজুর মো. ইউসুফ ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে পৌর কাউন্সিলরসহ ২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রায়পুর) উপস্থিত হয়ে মামলার ৫ আসামি জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এর মধ্যে তিনজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ সময় মামলার প্রধান আসামি আরিফ হোসেন, দ্বিতীয় আসামি রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাহারের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, আসামি আরিফ ও বাহারের বিরুদ্ধে মামলায় ইউসুফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি জামিন অযোগ্য ধারা। এজন্য দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর ইউসুফের দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) একই আদালতের বিচারক ওই ৫ আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে মামলার ৬ নম্বর আসামি দুলালকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউসুফের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত আরিফ, রাজিব, মানিক ও লতিফ তাকে (ইউসুফ) মারধর করে। এ সময় ইউসুফকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকেও মারধর করা হয়।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পথে মামলার দ্বিতীয় আসামি কাউন্সিলর বাহার তাদের গতিরোধ করেন। গালমন্দ করার অভিযোগ এনে বাহার তাকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারে। এতে ইউসুফের ডান চোখে জখম হয়। পরে মঙ্গলবার ইউসুফ বাদী হয়ে আদালতে ৬ জনের নামে মামলা করেন।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাহার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগটি সত্য নয়। সালিশে তাদের ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর