আব্দুর রশীদ বাবলু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার অশ্লীল ভিডিও ফাঁস হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে আপত্তিকর এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দৌলতপুরে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। 

ভিডিওতে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ বাবলু একটি কক্ষে ১৫-১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত। ওই কক্ষের জানালা দিয়ে কেউ আওয়ামী লীগ নেতার এ আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। পরে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, এমন নৈতিক স্খলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তি বাবলুর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে। 

বাজার, চায়ের দোকান ও উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র আওয়ামী লীগ নেতার অশ্লীল ভিডিও নিয়ে আলোচনা চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আব্দুর রশীদ বাবলুর চারিত্রিক ত্রুটি আগে থেকেই রয়েছে। যার কাছে একটি বাচ্চা মেয়ে নিরাপদ না, তারা আবার জনগণের সেবক হয় কীভাবে তা ভেবে পাই না। বাবলুর এই নৈতিক অবক্ষয় মেনে নেওয়া যায় না।

রিফাইতপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমিও অশ্লীল ভিডিওটি দেখেছি। তার মতো (আব্দুর রশীদ বাবলু) একজন দায়িত্বশীল প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে না। আপত্তিকর ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। 

এ বিষয়ে দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শরীফ উদ্দিন রিমন বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আব্দুর রশীদ বাবলুর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজু আহমেদ/ওএফ