ছেলে হত্যার বিচার চাইতে ঠাকুরগাঁও থেকে বান্দরবানে এক দম্পতি
ছেলে শ্রেয় মোস্তাফিজ (১২) হত্যার বিচারের দাবিতে প্রায় সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার দূর উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বান্দরবান এসেছেন এক দম্পতি।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। ছেলের ছবি সম্বলিত ব্যানারে লেখা রয়েছে, আমার ছেলে কেন লাশ হলো, আমার ছেলের নির্মম মৃত্যুর জন্য দায়ী কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের বিচার চাই। এ সময় তারা বলেন, বিচার পেলে কিছুটা হলেও শান্তি পাবে ছেলের আত্মা।
বিজ্ঞাপন
এ দম্পতি হলেন, ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়া এলাকার বুলবুল মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন।
তারা জানান, তাদের ছেলে মো. শ্রেয় মোস্তাফিজ পরিবারের একমাত্র সুস্থ সন্তান ছিল। তার বড় ভাই সুদিন মোস্তাফিজ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী।
বিজ্ঞাপন
শ্রেয়'র মা শাহনাজ পারভীন বলেন, আমার ছেলে শ্রেয় অনেক মেধাবী ছিল। তাকে বিসিএস ক্যাডার বানানোর স্বপ্ন দেখছিলাম। লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড-কলেজের অবহেলার কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। স্কুল কৃর্তপক্ষ আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ৭ জুন জেলার লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোয়ান্টামের অবহেলার কারণে সন্তান হারিয়েছি। করোনার কারণে সরকার নির্দেশিত সারাদেশে স্কুল বন্ধ থাকলেও তারা স্কুল খোলা রেখে আমার ছেলের নিরাপত্তা দিতে পারল না। আমরা একটা মামলা করেছি। মামলা চালাতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও ছেলে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
শ্রেয় মোস্তাফিজের বাবা বুলবুল মোস্তাফিজ বলেন, আমার সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে। এ কারণে
আমরা আমাদের সন্তানকে হারিয়েছি। কীভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ছেলেটি স্কুল থেকে বের হলো এবং মারা গেল। আমরা এর জবাব চাই।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন বান্দরবানের লামায় পানিতে ডুবে কোয়ান্টাম স্কুলের ২ ছাত্রের মৃত্যু হয়। পরে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মৃত শিক্ষার্থী শ্রেয় মোস্তাফিজের চাচা সাংবাদিক জাকির মোস্তাফিজ মিলু বাদী হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আবাসিক তত্ত্বাবধায়ককে আসামি করে একটি মামলা করেন।
রিজভী রাহাত/এমএএস