নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবক সাগর হোসেন। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার হাতে মুদি দোকানের চাবি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। এতে হাসি ফুটেছে সাগরের মুখে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের উত্তর ফকিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সাগর হোসেন (২১)। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই প্রতিবন্ধী বোন ও মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল সাগরকে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টুডেন্টস অব নোয়াখালী সাগরের পারিবারিক অবস্থার কথা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানকে জানান। বিষয়টি জানার পর তিনি সাগরকে মুদি দোকান করে দিলেন।

মো. সাগর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুই বোন ও এক ভাই প্রতিবন্ধী হওয়ায় কষ্টের শেষ ছিল না। অন্যের সাহায্য নিয়ে আমাদের চলতে হতো। আমি ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়ছি। খুব কষ্টে আমাদের জীবনযাপন করতে হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান স্যার আমাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি স্যারের প্রতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পিতৃহারা তিন প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে পরিবারটি মানবেতর জীবন-যাপনের কথা জানতে পেরে আমি প্রথম থেকেই তাদের খোঁজ-খবর রেখেছি। এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ভিক্ষা নয়, কর্মই জীবন- প্রকল্পে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই পর্যন্ত ৬৯ জন অসহায়, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সমাজের অসহায় পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প অব্যাহত থাকবে।

এ সময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা সুলতানা, কাদির হানিফ ইউপির চেয়ারম্যান আবব্দুর রহিম চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টুডেন্টস অব নোয়াখালীর অ্যাডমিন ইয়াসিন সুমন, মাহফুজুর রহমান, মাসুমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

হাসিব আল আমিন/এসপি