নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দুটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি ট্রলারে থাকা ১৬ জেলে নদীতে ডুবে যান। পরে ইউছুফ মাঝি (৫০) নামের একজনের মরদেহ ও ১৪ মাঝিকে জীবিত উদ্ধার করে নৌপুলিশ।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাতিয়া উপজেলার ইসলাম চরের পাশের এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন আবুল কালাম নামের আরও এক জেলে।

ঘটনার সত্যতা ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন নলচিরা ঘাটের নৌপুলিশ ইনচার্জ ইয়ার আলী।

নিহত ইউছুফ উপজেলার ২ নং চানন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আদর্শ গ্রামের মৃত মো. হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ জেলে আবুল কালাম একই এলাকার মো. বাতেনের ছেলে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মাছধরা একটি ছোট ট্রলার নদীতে মাছ শিকারে যায়। রোববার সকালে অন্য ট্রলারের লোকজন জানতে পারেন ট্রলারটি নদীতে ডুবে গেছে। পরে তাদের সহযোগিতায় নৌপুলিশ সাত মাঝিকে জীবিত উদ্ধার করলেও আবুল কালাম নামের একজনকে পাওয়া যায়নি।

একই ঘাটের ইউছুফ মাঝির ট্রলারটিও একই সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই ট্রলারেরও সাত মাঝিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করলে ট্রলারের কেবিনের মধ্যে ইউছুফ মাঝির মরদেহ পাওয়া যায়।

নৌপুলিশ ইনচার্জ ইয়ার আলী বলেন, দুর্ঘটনার শিকার ট্রলার দুটিতে থাকা ১৪ জেলেকে পার্শ্ববর্তী মাছ ধরার কয়েকটি ট্রলার জীবিত উদ্ধার করে। এ সময় ইউছুফ মাঝি নামের এক জেলে নিখোঁজ হন। নলচিরা ঘাট নৌপুলিশ খবর পেয়ে ওই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো আবুল কালাম নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। মৃত জেলেকে দাফন করা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এনএ