হবিগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য নিজ মেয়েকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা দেওয়ার ১২ বছর পর ভুক্তভোগী সামিয়াকে (ছদ্মনাম) উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘ফাতেমা’ নামে ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন সামিয়া। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই সনত চন্দ্র দাস তাকে উদ্ধার করেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ফুল মিয়ার সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে হারুন মিয়ার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ফুল মিয়ার স্ত্রী আমিনা খাতুন হারুন মিয়ার লোকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন।

মামলাটির দুটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলে হারুন মিয়াকে ঘায়েল করতে ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর আমিনা খাতুন তার কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে হবিগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় প্রতিপক্ষ আব্দুর রশিদ, ছুরুক মিয়া, আব্বাছ মিয়া ও হারুন মিয়াকে। এই মামলাটিও দুবার তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে জুডিসিয়াল তদন্তে অভিযোগটি আমলে নেন বিজ্ঞ বিচারক।

পরে এই মামলায় আব্দুর রশিদ ও ছুরুক মিয়া দীর্ঘ কারাভোগের পর হাইকোর্ট থেকে এবং আব্বাস মিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। তবে হারুন মিয়া আত্মসমর্পণ করেনি।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই সনত চন্দ্র দাস ঢাকার পুলিশের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বেলা আড়াইটার দিকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন।

মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/এনএ