বরিশাল সার্কিট হাউসের কর্মশালায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

বরিশাল বিভাগের ৩১ নৌপথের ২৭ নৌপথ পানি স্বল্পতায় ভুগছে। মাত্র চার নদীতে পানির স্বল্পতা নেই। বরিশাল বিভাগের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমিবস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই শীর্ষক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল সার্কিট হাউসে এ সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।

বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার নদী সমীক্ষার প্রতিবেদন তুলে ধরে এ তথ্য জানান।

সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়, নয়া ভাঙ্গুলীর ৩৪ কিলোমিটার, সীমান্ত নালার ৩৫ কিলোমিটার, খয়রাবাদ, পান্ডব, লোহালিয়া, রাবনাবাদ, টিয়াখালী, আন্দারমানিক নদীর ১৬১ কিলোমিটার, কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, বিশখালী, খাগদুন, চরদোয়ানি খালের ১১৭ কিলোমিটার পানি স্বল্পতায় ভুগছে।

পাশাপাশি পানির স্বল্পতা রয়েছে মেঘনা, ধনাগদা নদীর ৬৫ কিলোমিটারে। একই সঙ্গে মেঘনা-আজিমপুর-কীর্তনখোলার ৬১ কিলোমিটার, শালিদহ, কালীগঙ্গার ৩৫ কিলোমিটার, নালবুনিয়া, পোলাদোনর ৩৬ কিলোমিটার, রাজাপুর খাল, ধানসিঁড়ি নদীর সাড়ে ২৬ কিলোমিটার, বুড়িশ্বর, পায়রা নদীর সাড়ে ২২ কিলোমিটার, লোহালিয়ার ২৪ কিলোমিটার, আলগি, ভারিপাশাদোন, রামনগর, কালাইয়া নদীর সাড়ে ৩০ কিলোমিটার, ধুলিয়ায় সাড়ে সাত কিলোমিটার, দামুদোর খালের পাঁচ কিলোমিটার, বলেশ্বর নদীর ৮৩ কিলোমিটার, আড়িয়াল খাঁ নদের চার কিলোমিটার, আড়িয়াল খাঁ, সন্ধ্যা নদের ৬৬ কিলোমিটার পানি স্বল্পতায় ভুগছে। 

এছাড়া টিয়াখালী, খাপড়াভাঙ্গা, কাছোমখালীর ৪৬ কিলোমিটার, গাবখান, কাউখালী, সন্ধ্যা, কচা, শিয়ালখালী নদীর ৪২ কিলোমিটার, নেহালগঞ্জ, রাঙমাটিয়া নদীর ২৬ কিলোমিটার, মেঘনার ১৮ কিলোমিটার, তেঁতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ, মাশকাটা চ্যানেলের ২৩ কিলোমিটার, বিশারকান্দ বাঘা খাল, বেলুয়ায় ৩৬ কিলোমিটার, পটুয়াখালী খাল, বুড়িশ্বর, পায়রা নদীর ৭২ কিলোমিটার ও বুখাইনগর নদীর সাড়ে ১২ কিলোমিটারে পর্যাপ্ত পানি নেই।

তবে পানির অভাব নেই শালিদহ, কালীগঙ্গা, শাহবাজপুর চ্যানেল, টরকি নদী, ফদিয়াখাল, কাচাবানিয়া, নেহালগঞ্জ, তেঁতুলিয়া নদীর কিছু অংশে। 

সমীক্ষায় ১৪৭৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৭০ কিলোমিটার খননের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি ২৪৪ ঘাট চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে তিনটি নতুন লঞ্চঘাট, ৬০টি লঞ্চঘাট, ১১টি কার্গোঘাট, ৩৮টি খেয়াঘাট ও তিনটি পর্যটনঘাট উন্নয়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়। 

এএম