যশোরের কেশবপুরে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে গত তিন দিনে ২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলার কড়িয়ালি, পাঁজিয়া, বেগমপুর ও কমলাপুর এলাকায় কুকুরের হামলায় আহত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু মানুষই নয়, গরু-ছাগলও হামলার শিকার হচ্ছে। 
  
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার পাঁচ গ্রামে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। কুকুরের কামড়ে কারও হাত, কারও পা, কারও মুখে ক্ষত হয়েছে। 

বুধবার ও বৃহস্পতিবার কুকুরের কামড়ে আহতরা হলেন- মণিরামপুর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬০), সুফিয়া (৪০), হাবিবুর (৩৫), কেশবপুর উপজেলার কড়িয়ালি গ্রামের আয়েব আলী (৩৫), বেগমপুর গ্রামের আলামিন (৮), মোজাহিদ (৫), ইসরাফিল (১১), কমলাপুর গ্রামের জেবুন্নেছা (৫০) ও পাঁজিয়া গ্রামের আবু মুসা (৩)।

কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আনারুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে কুকুরের কামড়ে আহত মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। গত তিন দিনে ১৩ শিশুসহ ২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। একের পর এক মানুষ কুকুরের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিয়ে আহতদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। 

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ক্ষিপ্রগতিতে চলা এসব কুকুর পথে-ঘাটে, বাড়িতে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড় দিচ্ছে ও হামলা করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। এসব কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের টিকা মজুদ রয়েছে। এছাড়া কুকুরকে উত্ত্যক্ত না করে সবাইকে সতর্কভাবে চলাচলের জন্য আহ্বান জানান তিনি।

জাহিদ হাসান/আরএআর